শনিবার, ২ মে, ২০০৯

সাম্য

ভূমিকা

আমাদের এই কাহিনীর ঘটনাস্থল মধ্য কলকাতার শতাধিকবর্ষ পুরনো জরাজীর্ণ একটি শরিকী বাড়ি ৷ ঠিকানা ধরা যাক, ১৬/২/৪ খাঁদু মল্লিক লেন ৷ ১৬/২/৪ না লিখে ৩২ লিখলে হয়ত স্থান সংকুলান হত, কিন্তু কর্পোরেশনের নম্বরে বোধকরি ভগ্নাংশের নিয়ম চলে না বলে পুরো সংখ্যাটাই আলকাতরা দিয়ে বাড়ির নোনা ধরা দেওয়ালে লেখা আছে,  ওপরে ঘুঁটের প্রলেপ না পড়লে পড়তে বড় একটা অসুবিধে হয় না ৷

খাঁদু মল্লিক ইংরেজ আমলে প্রাতঃস্মরণীয় না হলেও, ভোজনস্মরণীয় ব্যক্তি ছিলেন,  অর্থা লোকে দুবেলা তাঁর মুণ্ডপাত না করে পাত পাড়ত না ৷ তিনি দানবীর পুরুষ ছিলেন, বহু লোককে বংশদান করে অগাধ সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন ৷ এ বাড়িটি তাঁরই বসতবাড়ি ৷ একসময়ে এখানে দরদালান, চণ্ডীমণ্ডপ, জুড়িগাড়ি., ঝাড়লণ্ঠন সবই ছিল, কিন্তু কালের প্রভাবে, এবং  খাঁদু মল্লিকের করিৎকর্মা বাংশধরদের কল্যাণে সে সব এখন উধাও হয়ে গেছে ৷ খাঁদু মল্লিকের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়পক্ষ রূপ চারাগাছেরা এযাবৎ বিশাল বট অশ্বত্থে পরিণত হয়ে তাদের শাখাপ্রশাখা দিয়ে বাড়িটিকে নানা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে ফেলেছে,  এবং বাড়ির যত্রতত্র  দেওয়াল, পাঁচিল আর ছাদ তুলে  সেটিকে একটি বৃহৎ মৌচাকের মত বানিয়ে ফেলেছে ৷ অন্ধকার সেই গোলকধাঁধায় পাকা গাইড না নিয়ে ঢুকলে হপ্তা খানেক পথ হারিয়ে ঘুরে মরতে হতে পারে ৷

 

বাড়ির বাইরে একপাশের দেওয়াল বরাবর একটা লম্বা টানা রোয়াক ৷ রোয়াকের একমাথায় ওপরে ওঠার দু-তিন ধাপ সিঁড়ি , আর তার ঠিক উল্টোদিকে, অর্থাৎ  রোয়াকের অন্যপ্রান্তে একখানা দরজা ৷ এই দরজা দিয়ে ঢুকলে ভেতরে একখানা ছোট ঘর, তার চেয়েও ছোট কলতলা এবং একচিলতে রান্নাঘর ৷ এসব খাঁদু মল্লিকের আমলে ছিল না, তাঁরই বংশের কেরাণীকুলতিলক কোন কৃতি পুরুষ এ অবদান রেখে গেছেন ৷ আমাদের কাহিনী যখন শুরু, তখন আইনের কোন অজ্ঞাত প্যাঁচের ফলে এই ক্ষুদ্র সম্পত্তিটুকু মল্লিক বৃক্ষের দুই উপশাখার প্রান্তের দুই লতাতুতো ভাইয়ের অধিকারে এল ৷ তাদের নাম ধরা যাক নাদুগোপাল আর যাদুগোপাল ৷ দুজনেরই বয়স পঁচিশের কাছাকাছি, দুজনেরই নিকট আত্মীয় বলতে কেউ নেই, এবং দুজনে একই কলেজের ছাত্র ৷ তফাতের মধ্যে যাদুগোপাল ইউনিভার্সিটির পরীক্ষায় বার চারেক গোঁত্তা খেয়ে বুর্জোয়া শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ইদানিং দুনিয়ার শোষিত মানুষের স্বার্থে মন প্রাণ নিয়োজিত করেছে ৷ অন্যদিকে নাদুগোপাল কোনরকমে হাঁচড়ে-পাঁচড়ে পরীক্ষার বেড়া টপকে শিক্ষিত বেকারের দলে নাম লিখিয়েছে, এবং চাকরির সম্ভাবনা না দেখে অন্য প্রকারে রোজগারের চেষ্টায় আছে ৷  

 

তবে যাদুগোপাল আর নাদুগোপাল মল্লিক বংশের একটা পুরনো ঐতিহ্যে ছেদ টানল ৷ তারা ঠিক করল সম্পত্তিটুকু আর ভাগ না করে দুজনে একসঙ্গেই থাকবে ৷

 

৷৷ ১ ৷৷

যাদুগোপাল আর নাদুগোপাল ঘরটিতে আস্তানা গাড়ার দু তিন দিনের মধ্যেই মশার জ্বালায়  অস্থির হয়ে উঠল ৷ ঘরে জানলা নেই,  একটি মাত্র দরজা, প্রায় লখীন্দরের বাসর ঘর বললেই চলে, কিন্তু তবু রাত হলেই কোথা থেকে হাজারে হাজারে মশা এসে উপস্থিত হয় ৷ মশার কামড়ে দুজনেরই রাতের ঘুম মাথায় উঠল ৷ তিনচারদিন এই উপদ্রব সহ্য করে শেষে নাদুগোপাল কার থেকে চেয়েচিন্তে কার থেকে একখানা মশারি যোগাড় করে আনল ৷ কিন্তু সে রাত্রে সে যখন নিজের বিছানায় মশারিখানা টাঙাতে গেল, যাদুগোপাল তাকে বাধা দিল ৷

-উঁহু, মশারি খাটাতে পারবে না ৷

অবাক হল নাদুগোপাল,

-কিন্তু কেন ?

-কেন না আমার কাছে মশারি নেই ৷

আরো অবাক হল নাদুগোপাল,

-তোমার কাছে মশারি নেই বলে আমি মশারি খাটাতে পারব না কেন ?

বিরক্তির আওয়াজ করল যাদুগোপাল,

-এই সোজা ব্যাপারটা বুঝতে পারলে না ? ঘরে যত মশা আছে সেগুলো এখনো দুভাগে ভাগ হয় ৷ অর্ধেক তোমাকে কামড়ায় আর অর্ধেক আমাকে ৷ তুমি মশারি টাঙালে সব মশাগুলো আমাকেই কামড়াবে ৷ এই সামাজিক অবিচার আমি মেনে নিতে পারি না ৷

সামজিক সাম্যের এই ব্যাখায় নাদুগোপালের মুখে আর কোন কথা এল না, সে চুপচাপ মশারি না খাটিয়েই শুয়ে পড়ল ৷    

৷৷ ২ ৷৷

পৈতৃক একটা আঙটি ছিল, হাজারদুয়েক টাকায় সেটা বেচে নাদুগোপাল একখানা ব্ল্যাকবোর্ড,  একটা ছোট ডেস্ক আর খানদুয়েক সতরঞ্চি কিনে একটা কোচিং স্কুলে খুলে ফেলল ৷ সতরঞ্চিতে সকালে পড়ুয়ারা বসে, আর রাত্রে সে দুটো বিছানা পাতার কাছে আসে ৷ নাদুগোপাল শুধু নয়, যাদুগোপালও তাতে শোয়, যাতে সামাজিক সাম্য অক্ষুণ্ণ থাকে ৷

পাড়ার মোড়েই একটা সরকারি স্কুল, কিন্তু ধারে কাছে অন্য কোন কোচিং ক্লাস নেই ৷ সুতরাং নাদুগোপালের ছত্র মন্দ জুটল না ৷ তাছাড়া সে পড়ায়ও ভাল, সুতরাং দিনে দিনে  তার কোচিং স্কুলের শ্রীবৃদ্ধি হতে লাগল ৷

মাসতিনেক  বাদে, যখন নাদুগোপালের কোচিং স্কুলের ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে,  একদিন যাদুগোপাল তাদেরই  বয়সী একটি ছেলেকে সঙ্গে করে নাদুগোপালের কাছে  হাজির হল ৷

-       নাদু একে তোমার কোচিং স্কুলে চাকরি দিতে হবে ৷

আকাশ থেকে পড়ল নাদুগোপাল,

-       ওকে ! ওতো পেটো পদু, ইস্কুলে পড়াশোনা করত না, ক্লাস কেটে সিনেমা দেখত ৷ তার জন্যে হেডমাস্টারের কাছে কতবার মারও  খেয়েছে ৷ ওতো ক্লাস সেভেনে অবধি পড়েছে, ক্লস টেনের ছেলেদের পড়াবে কি করে ?

বিরক্ত হল যাদুগোপাল

-       কি করে পড়াবে সেটা তুমি শিখিয়ে নাও ! মায়ের পেট থেকে পড়ে সবাই সব কিছু শিখে ফেলে নাকি ? একজন নিপীড়িত মেহনতি মানুষের স্বার্থে এটুকু তো তোমায় করতেই হবে ৷

বিস্ময়ে চোখ কপালে উঠে গেল নাদুগোপালের,

-       পুঁজিপতি ! আমি পুঁজিপতি হলাম কি করে ? পুঁজিপতিদের কাছে তো লাখ লাখ টাকা থাকে ৷ আমি তো মোটে হাজারদুয়েক টাকা খরচা করে কোচিং ইস্কুল খুলেছি ৷ তাছাড়া  ওই বা নিপীড়িত মেহনতি মানুষ হল কি করে ? ওর বাবার তো পার্কের ধারে দোতলা বাড়ি আছে ৷

 

আরো বিরক্ত হল যাদুগোপাল,

-       তুমি দেখছি একটা আস্ত গবেট ! লাখটাকা থাকলেই পুঁজিপতি হয় তোমায় কে বলল ? পুঁজি পুঁজিই , তা সে দুলাখটাকাই হোক আর দুহাজার টাকাই  হোক ৷ আর বাবার তো দোতলা বাড়ি থাকলেই যে সে নিপীড়িত মেহনতি মানুষ হয় না সে কথাই বা তোমায় কে বলল ? ইস্কুলে যে ওর ওপর নিপীড়িন হত তা তো তুমি নিজেই বললে ৷ আর তাছাড়া গতবার ভোটের সময়ে আমাদের পার্টিকে জেতানোর জন্যে ও যে কি মেহনত করেছে, তা কি তোমার জানা আছে ?

অতএব পেটো পদু নাদুগোপালের সহকারী শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হল ৷ কিন্তু তার বিদ্যের যা দৌড় তাতে সে পড়ানো আরম্ভ করলে, ছাত্রদের হৃদয়ে  জ্ঞানের আলো না জ্বলে কোচিং স্কুলের লালবাতি জ্বলার সম্ভাবনাই প্রবল ৷ সুতরাং নাদুগোপাল তাকে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে  না পড়িয়েই শুধু মাইনে নেবার সুযোগ করে দিল, যাতে সে পাড়ার ঠেকে বসে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লাগাতার সংগ্রাম করে যেতে পারে ৷  

৷৷৩ ৷৷

মাসছয়েক কেটে গেছে, তিনচরদিন টানা ছুটি থাকায় নাদুগোপাল কলকাতার বাইরে বেড়াতে গিয়েছিল৷ ফিরে এসে দেখল তাদের ঘরে ঢোকার রোয়াকটার ভোল পাল্টে গেছে ৷ রোয়াকের ওপর প্লাস্টিকের শিট আর বাঁশ দিয়ে তৈরি গোটা কতক দোকান উঠে গেছে ৷ দোকানের আলোয় চারিদিক ঝলমল করছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে লোকে দরদাম করছে ৷

যাদুগোপাল রাস্তাতেই দাঁড়িয়েছিল, তাকে দেখে নাদুগোপাল আর্তনাদ করে উঠল,

-       এসব আবার কি ?

-       কেন ?  তোমার আবার অসুবিধে কি হল ? বঞ্চিত মানুষদের কর্মসংস্থানের জন্যে আমাদের এটুকুতো করতেই হবে ৷

যাদুগোপাল অসুবিধে হবে না বলে অভয় দিলেও, অল্পদিনের মধ্যেই বিলক্ষণ অসুবিধে হতে আরম্ভ করল ৷ সরু রোয়াক, তার আর্দ্ধেকটা জুড়ে সামনের দিকে  দোকান, বাকি আর্দ্ধেকটায় দোকানদারদের মালপত্র ঠাসা, কোচিং স্কুলে ঢোকার পথ প্রায় বন্ধ ৷ তারওপর  দুএকবার জিনিষপত্রে পা লাগা নিয়ে ছাত্রদের মা বাবাদের সঙ্গে দোকানদারদের তুমুল ঝগড়া হয়ে গেল ৷ নাদুগোপালের কোচিং স্কুলে ধীরে ধীরে ছাত্রসংখ্যা কমতে লাগল ৷

এর ধাক্কাতেই নাদুগোপাল নাজেহাল হয়ে পড়েছে, এমন সময়ে আর এক নতুন বিপত্তির উদয় হল ৷ সেলস ট্যাক্স অফিস থেকে এক ট্যাক্সবাবু এসে হম্বিতম্বি আরম্ভ করে দিলেন ৷

-       আই ! ব্যবসা করলে সেলস ট্যাক্স সার্ভিস ট্যাক্স দিতে হয় জানেন না ? সেলস ট্যাক্স রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন ?

না ৷ নাদুগোপাল সার্ভিস ট্যাক্স কাকে বলে জানে না ৷ রেজিস্ট্রেশন কাকে বলে তাও তার জানা নেই ৷ সুতরাং মোটা টাকার একটা ট্যাক্স নোটিশ ধরিয়ে দিয়ে ট্যাক্সবাবু বিদায় নিতে উদ্যত হলেন ৷ ভয়ে ভয়ে  নাদুগোপাল শুধু জিজ্ঞেস করল,

-       ওদের থেকে ট্যাক্স নেবেন না ?

ট্যাক্সবাবুর ভুরু কুঁচকে গেল,

-       কাদের থেকে ?

-       ওই যে, রোয়াকে যারা দোকান দিয়েছে ?

-       ওরা কি ওই রোয়াকের মালিক ?

-       না ৷

-       ওরা কি ওই রোয়াকের ভাড়াটে ?

-       আজ্ঞে না ৷

-       ওদের কি কোন স্থায়ী ঠিকানা আছে ?

-       বোধহয় না ৷

-       তবে আমাদের খাতায় ওদের কোন অস্তিত্ব নেই ৷ যাদের অস্তিত্বই নেই তার ট্যাক্স কি করে দেবে ? যাকগে, অনেক বাজে বকিয়েছেন, এবার সময় মতন ট্যাক্স দিয়ে দেবেন, নইলে বিপদে পড়বেন ৷

শদুয়েক টাকা পথ খরচা নিয়ে ট্যাক্সবাবু বিদায় নিলেন ৷ নাদুগোপাল অতি সুবোধ বালকের মতন কয়েকদিনের মধ্যেই দুপকেট ঝেড়ে ট্যাক্স মিটিয়ে দিল ৷

এরপর দ্বিতীয় আর এক বিপত্তির আবির্ভাব হল ৷  মাসের শেষে ইলেকট্রিক বিল এলে, তার অঙ্কটা দেখে নাদুগোপাল আঁতকে উঠল ৷ কয়েকদিন ধরে সে শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলছিল,  বিলের ধাক্কায় এবার তার নাভিশ্বাস উঠে এল ৷ এদিক ওদিক খানিক খোঁজ করে তার বুঝতে বাকি রইল না যে রোয়াকের দোকানের আলোর রোশনাইয়ের  জোগাড় তার ইলেকট্রিক লাইন থেকেই হয় ৷ যাদুগোপালের সঙ্গে কথা বলে এও বোঝা গেল যে এ ব্যাপারে তার প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে ৷ সামাজিক সাম্যের প্রতি নাদুগোপালের মত পুঁজিপতিদের এটাই নাকি নৈতিক দায়িত্ব ৷

নাদুগোপাল আর কোন তাত্ত্বিক তর্কের মধ্যে গেল না ৷ শুধু  পরের মাসের পয়লা তারিখে দেখা গেল, যে সে তার জুতো, জামা, বিছানা, বালিশ সমেত অন্তর্ধান করেছে ৷ তার ছাত্রদের থেকে খবর পাওয়া গেল যে সে নাকি কোচিং ইস্কুল  তুলে দিয়ে কলকাতা ছেড়ে পুনা চলে গেছে ৷ আর তার কয়েকদিন বাদে এও বোঝা গেল যে সে ইলেকট্রিক বিলের টাকাটা মেটায় নি ৷ যাদুগোপাল  এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হল, এবং নাদুগোপাল যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের একজন চর, কিম্বা বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার একজন দালাল, সে বিষয়ে তার কোন সন্দেহই রইল না ৷ পারলে সে হয়ত নাদুগোপালের কালো হাত ভেঙে কিম্বা গুঁড়িয়ে দিত, কিন্তু পুনার টিকিট ভাড়া জোগাড় না করতে পারায় সেটা আর হয়ে উঠল না ৷

 

উপসংহার

উপসংহারে বিশেষ কিছু বলার নেই ৷ নাদুগোপালের কলকাতার কোচিং স্কুল সংহার হয়ে গেলেও,  এক বন্ধুর সঙ্গে পার্টনারশিপে পুনায় তার ব্যাবসা ভালই চলছে ৷ এন.জি.র কোচিং পুনার লোক একডাকে চেনে ৷ কোচিং ইস্কুলের রোজগারে সে একটা সে একটা সেকেণ্ড হ্যাণ্ড মারুতি গাড়ি কিনেছে, এবং ঘরে ঘরণী আনার চেষ্টায় আছে ৷

বিলের টাকা না মেটানোয় নাদুগোপাল এবং যাদুগোপালের্ ঘরের লাইন ইলেকট্রিক কোম্পানী কেটে দিয়েছে ৷ তাতে দোকানের রোশনাই এবং খদ্দের দুইই অনেক কমে গেছে ৷ বিনা পরিশ্রমের চাকরিটি চলে গিয়ে ইদানীং  পেটো পদুরও  সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মোকাবিলায় কিঞ্চিত ভাঁটা পড়েছে ৷

নাদুগোপাল চলে যাওয়াতে সব মশার কামড় এখন যাদুগোপালকেই এখন একা খেতে হচ্ছে৷ ৷ তাতে সামাজিক ন্যায়ের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে কিনা সেটা অবশ্য সেই বলতে পারে ৷ প্রয়োজন থাকলে ১৬/২/৪ খাঁদু মল্লিক লেনে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে আসতে পারেন ৷